Institute History

গাইবান্ধা জেলার ইতিহাসে গোবিন্দগঞ্জে বর্ধনকুঠি রাজ বংশের ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। চতুর্দশ শতকে ইন্দ্রাকপুর ছিল উত্তর বঙ্গের মধ্যে একটি বৃহত্তম পরগনা এবং এর রাজধানী ছিল “ বর্ধনকুঠিতে”। ইতিহাসখ্যাত বর্ধনকুঠির সর্বশেষ রাজা শৈলেশ চন্দ্র ১৯৪৭ সালে ভারত চলে গেলে ১৯৬৫ সালে অত্র এলাকার তৎকালীন রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক এবং শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে ও অত্র অঞ্চলের সর্বস্তরের জনগণের ঐকান্তিক সহযোগিতায় বর্ধনকুঠির পরিত্যক্ত রাজবাড়ীতে “গোবিন্দগঞ্জ কলেজ” নামে প্রতিষ্ঠানটি ১১.৯২ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠা লাভ করে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর পাঠদান শুরু হয়। পরবর্তীতে স্নাতক শ্রেণী (বিএসসি, বিএ, বিএসএস ও বিবিএস), ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বি.এম) এবং অনার্স (বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) কোর্স চালু করা হয়। কলেজটিতে আছে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণীর স্টাডি সেন্টার। সামাজিক ও আত্নিক উন্নয়ন সর্বোপরি আত্ননির্ভরশীলতার লক্ষ্যে কলেজে বি.এন.সি.সি ও রোভার স্কাউট এর ইউনিট এবং আর্তমানবতার সেবায় আত্ননিয়োগের লক্ষ্যে রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট চালু রয়েছে। সাহিত্য চর্চার জন্য আছে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচী। বর্তমানে অধ্যয়নরত প্রায় ১৭০০ ছাত্রী ও ৩৩০০ ছাত্রের লেখাপড়ার সুবিধার্থে কলেজে রয়েছে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বইসহ সমৃদ্ধ একটি লাইব্রেরি, বিষয়ভিত্তিক গবেষণাগার ও কম্পিউটার ল্যাব।  শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রত্যেক বছর কলেজে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) ও সরস্বতী পূজা। ধর্মচর্চার জন্য ইসলাম ধর্মালম্বীদের জন্য রয়েছে একটি মসজিদ। প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে অদ্যাবধি বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের ক্ষেত্রে ও বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের মাধ্যমে কলেজের শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। কলেজ প্রশাসন, অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগীতায় প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে কলেজটি সরকারি করেন।